ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় ও ১০টি সফল পদ্ধতি
আপনি কি ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমরা এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় ও ১০টি সফল আইডিয়া সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।
আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আরও জানতে পারবো ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ১০টি সফল পদ্ধতি সম্পর্কে। ইউটিউব থেকে যেহেতু ইনকাম করা যায় তাই আমরা সবকিছু বিস্তারিত ভাবে জানার এই আর্টিকেল থেকে।পোস্ট সুচিপত্রঃ ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় ও ১০টি সফল পদ্ধতি
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়
- ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ১০টি সফল পদ্ধতি
- ইউটিউব থেকে আয় করার শর্ত
- ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
- ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন
- ইউটিউব থেকে ইনকাম কি হালাল
- ইউটিউব এ কত ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়
- ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য যা যা করতে হবে
- লেখকের শেষকথাঃ ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় ও ১০টি সফল পদ্ধতি
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায়
কোর্স বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করুনঃ আপনি যদি কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা রাখেন—যেমন গণিত, ইংরেজি, বিজ্ঞান কিংবা ইতিহাস—তাহলে সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা একেবারেই সম্ভব। স্কুল-কলেজ স্টাইলে বোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে বা ডিজিটাল টুলস ব্যবহার করে ঘরেই একটি ক্লাসরুম পরিবেশ তৈরি করুন। তারপর সেই ভিডিওগুলোকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করুন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করুনঃ আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে যদি মাঝারি মানের ইনকাম হয়ে থাকে, তবে আপনি চাইলে সেই আয় আরও বাড়িয়ে নিতে পারেন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। এটি এমন একটি উপায় যেখানে আপনি অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের প্রচার করে কমিশন ইনকাম করতে পারেন।
এই পদ্ধতিতে কাজ করতে হলে প্রথমেই নির্ভরযোগ্য কোনো কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে হবে, যারা অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম অফার করে। এরপর আপনি তাদের কোনো পণ্য বা সেবার রিভিউ বা প্রচারমূলক ভিডিও তৈরি করতে পারেন। ভিডিওতে সেই প্রোডাক্টটির গুণাগুণ ও ব্যবহার উপকারিতা তুলে ধরুন, যেন দর্শকরা আগ্রহী হয়।
আজকাল অনেক বড় ইউটিউবারই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে একটি নির্ভরযোগ্য ইনকামের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করছেন। আপনি চাইলে আপনার কনটেন্ট অনুযায়ী টেক গ্যাজেট, বই, অনলাইন কোর্স, বিউটি প্রোডাক্ট কিংবা হেলথ সাপ্লিমেন্টের অ্যাফিলিয়েট করতে পারেন।
পণ্য বিক্রি করে আয়ঃ যেসব ইউটিউব চ্যানেলের ভালো সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার রয়েছে, তাদের জন্য ইউটিউব ইনকাম ছাড়াও বাড়তি অর্থ উপার্জনের একটি দারুণ উপায় হলো—নিজস্ব ব্র্যান্ডের পণ্য বিক্রি করা।
অনেক বড় ইউটিউবারই এখন তাদের চ্যানেলের জনপ্রিয়তা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন পণ্য তৈরি ও বিক্রি করছেন। যেমন: চ্যানেলের নাম বা লোগো যুক্ত টি-শার্ট, ক্যাপ, ব্যাগ, স্টিকার, ছাতা বা কাস্টমাইজড মগ ইত্যাদি পণ্য দর্শকদের মাঝে বিক্রি করে থাকেন। ফ্যানরাও এসব প্রোডাক্ট গর্বের সাথে ব্যবহার করেন, কারণ এগুলো তাদের প্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে এক ধরনের সংযোগ তৈরি করে।
বিদেশে এই ট্রেন্ডটি অনেক আগে থেকেই প্রচলিত, তবে এখন আমাদের দেশেও অনেক ইউটিউবার এটি সফলভাবে করছেন। আপনি চাইলে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে অথবা ভিডিওতে স্পেশাল অফার দিয়ে আপনার পণ্য দর্শকদের কাছে তুলে ধরতে পারেন। এতে শুধু বাড়তি ইনকামই নয়, আপনার ব্র্যান্ড বা চ্যানেলের প্রতি দর্শকের আনুগত্যও অনেক বেড়ে যায়।
স্পনসরশিপ থেকে আয় করুনঃ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মতোই ইউটিউব থেকে ইনকামের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হলো স্পন্সরশিপ। তবে এখানে একটি বড় পার্থক্য রয়েছে। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি কেবলমাত্র প্রোডাক্ট বিক্রির ভিত্তিতে কমিশন পান—আপনাকে কেউ আগাম অর্থ প্রদান করে না। কিন্তু স্পন্সরশিপের ক্ষেত্রে ঠিক তার বিপরীত ঘটে।
স্পন্সরশিপের মাধ্যমে কোনও প্রতিষ্ঠান সরাসরি আপনাকে একটি নির্দিষ্ট অর্থ দিয়ে তাদের পণ্যের প্রচার করতে বলে। এক্ষেত্রে আপনাকে ভিডিও তৈরির সময় সেই ব্র্যান্ড বা কোম্পানিকে বিশেষভাবে হাইলাইট করতে হয়। আপনি ভিডিওর শুরুতে বা মাঝখানে পণ্যটির উপকারিতা তুলে ধরতে পারেন, কিংবা সরাসরি ভিডিও কনটেন্টের ভেতরেই সেটি এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে যাতে দর্শকের মনোযোগ আকৃষ্ট হয়।
বিজ্ঞাপন থেকে আয়ঃ ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জনের সবচেয়ে সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে বিজ্ঞাপন। আমরা যারা ইউটিউবে ভিডিও দেখি, তারা প্রায়ই ভিডিও শুরু হওয়ার আগে, মাঝখানে বা শেষে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন দেখে থাকি। অনেক সময় এসব বিজ্ঞাপনকে বিরক্তিকর মনে হলেও, এই বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমেই ইউটিউবাররা অর্থ আয় করেন।
যত বেশি কেউ আপনার ভিডিও দেখবে, ততবারই বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে। স্বাভাবিকভাবেই, যদি আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিউয়ের সংখ্যা বেশি হয়, তাহলে আপনার ভিডিওগুলোতেও বেশি বিজ্ঞাপন দেখানো হবে। আর যত বেশি বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে, ততই আপনার আয় বাড়বে।
তবে একটা বিষয় মাথায় রাখা জরুরি—শুধু ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানো হলেই আয় হয় না। একজন দর্শক যদি সেই বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে বা সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপনটি দেখে, তবেই ইউটিউবার নির্দিষ্ট হারে অর্থ পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ, দর্শকের অংশগ্রহণ যত বেশি হবে, ইউটিউবারের আয়ও তত বেশি হবে।
ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম থেকে আয়ঃ শুরুতে ইউটিউবে ভিডিও বানিয়ে শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন থেকে খুব বেশি আয় হবে না—এটা একদমই স্বাভাবিক। কারণ, এই পর্যায়ে চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার ও ভিউ কম থাকায় বিজ্ঞাপন থেকেও আয়ের পরিমাণ সীমিত থাকে। কিন্তু এই সময়েই অনেক ইউটিউবার হতাশ হয়ে পড়েন, অথচ এখানে একটি কার্যকর সমাধান আছে—ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম।
এই প্রোগ্রামে যুক্ত হলে আপনি শুধু বিজ্ঞাপন থেকেই নয়, আরও বিভিন্ন মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম এমন একটি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম যেখানে প্রতিটি ভিডিও ভিউয়ের উপর ভিত্তি করে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ ইউটিউবারদের সাথে ভাগ করে নেওয়া হয়।
অর্থাৎ, আপনার ভিডিও যত বেশি দেখা হবে, আপনি তত বেশি আয়ের অংশ পাবেন। এতে করে ধীরে ধীরে আপনার আয় বাড়তে শুরু করবে এবং কন্টেন্ট নির্মাণে উৎসাহও বেড়ে যাবে।
ভিডিওগ্রাফি করে টাকা আয় করুনঃ যদি আপনার ভিডিও করতে ভালো লাগে এবং আপনি এতে কিছুটা দক্ষতা রাখেন, তাহলে এটাই হতে পারে আপনার আয়ের একটি দারুণ পথ। আজকাল অনেকেই ঘুরতে গেলে হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই চারপাশের প্রকৃতি—পশু-পাখি, গাছপালা, নদী-নালা, আকাশ কিংবা যেকোনো সুন্দর মুহূর্তকে ভিডিওর মাধ্যমে ধারণ করেন। এই ভিডিওগুলোর মধ্যেই থাকে গল্প বলার এক আলাদা রূপ।
তবে শুধু ভিডিও ধারণ করলেই চলবে না—তার সঙ্গে থাকতে হবে আকর্ষণীয় এবং উন্নতমানের এডিটিং। কারণ, সাদামাটা ভিডিও দর্শকদের তেমনভাবে আকর্ষণ করতে পারে না। ভালো মানের সম্পাদনা করা না থাকলে ভিডিও ভিউও পড়ে যায় কমে।
তাই আপনার ভিডিও নির্মাণের দক্ষতাকে যদি ঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারেন, তবে ইউটিউব হতে পারে আপনার জন্য আয়ের একটি চমৎকার মাধ্যম।
YouTube Premium থেকে আয়ঃ যখন আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে নিয়মিতভাবে আয় আসতে শুরু করবে এবং চ্যানেলে যথেষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার হয়ে যাবে, তখন আপনি চাইলে YouTube Premium-এর সুবিধাও গ্রহণ করতে পারেন। এটি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের একটি বিশেষ সার্ভিস, যেখানে দর্শকরা মাসিক অর্থ পরিশোধ করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই ভিডিও দেখতে পারেন।
আপনার চ্যানেলের নিয়মিত দর্শকদের কেউ যদি ইউটিউব প্রিমিয়াম ব্যবহার করেন এবং তারা আপনার ভিডিও দেখেন, তাহলে সেই প্রিমিয়াম ফি-এর একটি নির্দিষ্ট অংশ ইউটিউব আপনাকে দিয়ে থাকে। অর্থাৎ, শুধুমাত্র ভিডিও দেখে উপভোগ করেই আপনি ইনকাম করতে পারবেন—তাও আবার বিজ্ঞাপন ছাড়াই।
সদস্যপদ থেকে আয়ঃ ইউটিউব থেকে আয়ের একটি দারুণ উপায় হলো চ্যানেল মেম্বারশিপ চালু করা। যখন আপনার চ্যানেলে নির্দিষ্ট পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার এবং কিছু শর্ত পূরণ হয়, তখন আপনি এই মেম্বারশিপ সুবিধাটি চালু করতে পারেন।
এই মেম্বারশিপের মাধ্যমে আপনার ভক্ত ও দর্শকরা মাসিক একটি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে আপনার চ্যানেলের সদস্য হতে পারবেন। এর বিনিময়ে তারা কিছু এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট, লাইভ চ্যাট ব্যাজ, ইমোজি, কিংবা বিশেষ কিছু ভিডিও দেখার সুযোগ পেয়ে থাকেন—যা সাধারণ দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত নয়।
ভিডিও লাইসেন্সের মাধ্যমে আয়ঃ আপনার তৈরি কোনো ভিডিও যদি হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যায় এবং সেটি যদি দর্শকদের মাঝে আলোড়ন তোলে, তাহলে শুধুমাত্র ইউটিউব থেকেই নয়, ভিডিও লাইসেন্সিংয়ের মাধ্যমে আরও বড় আয়ের সুযোগ তৈরি হয়।
অনেক সময় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম, টেলিভিশন চ্যানেল বা অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ভাইরাল ভিডিওগুলো তাদের কনটেন্টে ব্যবহার করতে আগ্রহী হয়। তবে তারা আপনার অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে পারবে না। যদি কেউ আপনার ভিডিও ব্যবহার করতে চায়, তাহলে আপনার কাছ থেকে ভিডিওর ব্যবহার অনুমতি নিতে হবে, অর্থাৎ ভিডিওটির লাইসেন্স নিতে হবে।
এই লাইসেন্সের বিনিময়ে তারা আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করবে। অনেক ক্ষেত্রে এই লাইসেন্স ফি-ই আপনার ইউটিউব আয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার ১০টি সফল পদ্ধতি
- ইউটিউব মনেটাইজেশন (গুগল অ্যাডসেন্স)
- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
- স্পন্সরশিপ বা ব্র্যান্ড ডিল
- নিজের পণ্য বা সার্ভিস বিক্রি
- চ্যানেল মেম্বারশিপ
- ইউটিউব প্রিমিয়াম রেভিনিউ
- ভিডিও লাইসেন্সিং
- অনলাইন কোর্স বিক্রি
- ভিডিও এডিটিং বা প্রফেশনাল সার্ভিস অফার
- ভ্রমণ, প্রাকৃতিক দৃশ্য বা তথ্যচিত্র ভিডিও তৈরি
ইউটিউব থেকে আয় করার শর্ত
"অনেকেই ভাবেন ইউটিউবে ভিডিও দিলেই টাকা আসবে, কিন্তু বাস্তবতা বলছে—এটা মোটেও এতটা সহজ নয়। এর জন্য ধৈর্য, পরিশ্রম আর নিয়ম মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি।"। "অনেকেই ভাবেন, ইউটিউবে একটা চ্যানেল খুলে কয়েকটা ভিডিও আপলোড করলেই লাখ লাখ ভিউ হবে আর টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে—কিন্তু এটি একেবারেই বাস্তবতা নয়। ইউটিউব থেকে আয় করতে হলে আগে আপনাকে তাদের নির্ধারিত মনিটাইজেশন নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে। আর এই নিয়মগুলো মানতে গেলে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত পূরণ করেই তবে আপনি ইনকামের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছাতে পারবেন।"। শর্তগুলো হলো-
- ভিডিও সম্পূর্ণ নিজের তৈরি হতে হবে অন্য কারো তৈরি ভিডিও ব্যবহার করা যাবে না। ভিডিওতে ব্যবহৃত যে কোন অডিও মেধাস্বত্বহীন হতে হবে অর্থাৎ কপিরাইট ক্লেইম করা যাবে না এমন হতে হবে।
- এক বছর সময়ের মধ্যে আপনার চ্যানেলে কমপক্ষে ০১ হাজার সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে।
- এক বছরের মধ্যে সবগুলো ভিডিও মিলে সর্বমোট ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম থাকতে হবে।
- এ দুটি শর্ত যদি এক বছর সময়ের আগেই পূরণ হয়ে যায় তবে তখনই আপনি মনিটাইজেশন চালু করতে পারবেন।
- এছাড়াও আপনার চ্যানেলের জন্য শর্ট ভিডিওর ক্ষেত্রে সর্বশেষ ৯০ দিনে সর্বমোট ১০ লক্ষ ভিউ থাকতে হবে।
- শুধুমাত্র ইউটিউব এর বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে ইনকাম খুবই সামান্য হবে। তাই ধৈর্য ধারণ করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে। পরবর্তীতে আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার কয়েক লক্ষ হলে অন্যান্য কোম্পানি আপনার চ্যানেলে বিজ্ঞাপন দেখানোর আগ্রহ প্রকাশ করবে।
- আপনার চ্যানেলের সাবস্ক্রাইবার এবং ভিডিওর ভিউ বানানোর জন্য ভিডিও কোয়ালিটি হতে হবে ভালো এবং চমকপ্রদ।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স এর বিস্তারিত
- একটি সুনির্দিষ্ট এবং জনপ্রিয় বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করতে হবে অর্থাৎ এমন বিষয়ের উপর ভিডিও তৈরি করুন যার প্রতি দর্শকদের জানার আগ্রহ থাকে।
- ভিডিও দৈর্ঘ্য যেন বেশি বড় না হয় অর্থাৎ অল্প সময়ের ভিডিও তথ্যপূর্ণ হতে হবে। সাদামাটা নয় বরং ভিডিওতে বিভিন্ন অ্যানিমেশন সহ উচ্চমানের এডিটিং (যেমন মোশন গ্রাফিক্স) থাকলে ভিউয়ার্স আরো আকৃষ্ট হয়।
- আপনার চ্যানেলের অথবা কোন ভিডিওর বিপরীতে কপিরাইট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ বা কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড স্ট্রাইক থাকা চলবে না।
- ইউটিউব শর্তাবলী লংঘন করে ভিডিও আপলোড করা যাবেনা।
- সব নিয়মকানুন মেনে ভিডিও আপলোড করার পরে ইনকাম শুরু হলে ইউটিউব একাউন্টে ১০০ ডলার জমা না হওয়া পর্যন্ত সেই টাকা আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্রান্সফার করতে এবং তুলতে পারবেন না।
ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায়
আজকের আলোচনার বিষয় – ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা আয় করা সম্ভব?
আপনি যদি পেশাদারভাবে ইউটিউবকে ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন, তাহলে একটি ভালো মানের চ্যানেল তৈরি করে টিমওয়ার্কের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে কনটেন্ট তৈরি করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রফেশনাল ইউটিউব চ্যানেল থেকে মাসে ১ লক্ষ টাকা আয় করা এখন অসম্ভব নয়, বরং সঠিক পরিকল্পনা ও মানসম্পন্ন কনটেন্ট থাকলে এটি একেবারেই সম্ভব।
এছাড়া নিয়মিত ভিডিও আপলোডের পাশাপাশি স্পনসরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিংবা ব্র্যান্ড কোলাবোরেশনের মাধ্যমেও বাড়তি আয় করা যায়। অর্থাৎ, আপনি যদি ধৈর্য ধরে এবং কৌশলীভাবে কাজ চালিয়ে যান, তাহলে ইউটিউব হতে মাসে এক লক্ষ টাকারও বেশি ইনকাম করা সম্ভব।
ইউটিউব কমিউনিটি গাইডলাইন
- YouTube আমাদের একটি ডিজিটাল পরিবার। আর পরিবারে কেউ যদি চুরি বা ঠকবাজি করে, সেটা যেমন মেনে নেওয়া যায় না — তেমনই YouTube-এও স্ক্যাম বা বিভ্রান্তিমূলক ভিডিওর কোনো জায়গা নেই। বিশ্বাস আর স্বচ্ছতাই এখানে মূল শক্তি।
- আমরা সবসময় চেষ্টা করি যেন দর্শক, কনটেন্ট নির্মাতা এবং বিশেষ করে ছোটদের জন্য YouTube একটি নিরাপদ জায়গা হয়ে থাকে। তাই কোনো ভিডিওতে অশালীনতা, নগ্নতা বা নিজের শরীরকে কষ্ট দেওয়ার মতো বিষয় থাকলে, সেগুলোকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। যদি আপনি এমন কোনো ভিডিও দেখেন যা এই নিয়ম ভঙ্গ করছে, তাহলে অবশ্যই রিপোর্ট করুন।
- YouTube কখনই এমন কোনো ভিডিও অনুমোদন করে না যেখানে মানুষকে অপমান করা হয়, ঘৃণা ছড়ানো হয়, মারামারির মতো দৃশ্য দেখানো হয়, বা কারো জন্য ক্ষতিকর আচরণ প্ররোচিত করা হয়। এ ধরনের কনটেন্ট শুধু ব্যবহারকারীদের জন্য ক্ষতিকর নয়, সমাজের জন্যও বিপদজনক হতে পারে।
-
সব জিনিস কি YouTube-এ বিক্রি করা যায়? না! কিছু প্রোডাক্ট আছে যেগুলো বিক্রি করলে YouTube নিয়ম ভেঙে যায়। তাই ভিডিও বানানোর আগে ভালোভাবে জেনে নিন কোন পণ্য অনুমোদিত, আর কোনটি নয়।
-
আপনি যদি এমন ভিডিও তৈরি করেন যা ভুল তথ্য ছড়িয়ে মানুষকে বিপদে ফেলতে পারে, তাহলে তা YouTube কখনোই মেনে নেবে না। ভুয়া চিকিৎসা, কারচুপি করা প্রযুক্তিগত কনটেন্ট বা নির্বাচন সংক্রান্ত বিভ্রান্তিকর তথ্য—এসবের কারণে মানুষের ক্ষতি হতে পারে, তাই এগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো।
-
যদি আপনি এমন একটি ভিডিও তৈরি করেন যা সাধারণ নিয়মের বাইরে যায়, তাহলে হতাশ হবেন না। YouTube অনেক সময় সেই ভিডিওকে EDSA ব্যতিক্রম হিসেবে ধরে নেয় — যদি তা শিক্ষা দেয়, তথ্য দেয়, বৈজ্ঞানিকভাবে মূল্যবান হয়, অথবা শিল্পমূল্য বহন করে। তবে এর মানে এই নয় যে সব কিছুই অনুমোদন পাবে, তাই বিষয়টি যথাযথভাবে মূল্যায়ন করা হয়।
ইউটিউব থেকে ইনকাম কি হালাল
প্রিয় পাঠক আশা করছি আপনি আল্লাহর রহমতে ভালো আছেন। আপনি যেহেতু জানতে চেয়েছেন "ইউটিউব থেকে আয় হালাল না হারাম?", তাহলে ধরে নিচ্ছি আপনি একজন সচেতন এবং ইসলামি বিধান মেনে চলতে আগ্রহী মানুষ।
আরও পড়ুনঃ মেয়েদের অনলাইন ইনকাম
আজকাল আমরা অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও দেখি, কনটেন্ট তৈরি করি এবং কেউ কেউ ইউটিউবকে আয়ের উৎস হিসেবেও বেছে নিচ্ছি। কিন্তু এই ইনকামটা আদৌ হালাল কিনা, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। কেউ বলেন হালাল, কেউ আবার বলেন হারাম। আপনিও হয়তো সঠিক তথ্য জানার আশায় অনেক জায়গায় খোঁজ করেছেন, অবশেষে এখানে এসে পৌঁছেছেন।
১. ইউটিউব ইনকাম বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে হয়।
২. বিজ্ঞাপন ইসলামি নীতির মধ্যে হলে ইনকাম হালাল।
৩. অশ্লীলতা, জুয়া বা হারাম বিষয় থাকলে তা হারাম।
৪. কনটেন্ট যদি ইসলাম পরিপন্থী হয়, তাও হারাম।
৫. ইউটিউব অ্যাড ফিল্টার ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ।
৬. ইসলামি, শিক্ষনীয় কনটেন্ট বানানো উত্তম।
৭. আপনার নিয়ত পরিষ্কার হলে রিজিকও হালাল হতে পারে।
৮. অন্যকে বিভ্রান্ত করা ইনকাম কখনই হালাল না।
৯. ইসলামে উপার্জনের মাধ্যম ও পদ্ধতি উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।
১০. তাই ইউটিউব ইনকাম হালাল না হারাম—এটি নির্ভর করে কনটেন্ট ও নিয়ন্ত্রণের উপর।
ইউটিউব এ কত ভিউতে কত টাকা পাওয়া যায়
আজকাল ইউটিউব শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং অনেকের আয়ের প্রধান উৎস হয়ে উঠেছে। যারা নতুন শুরু করছেন, তাদের মনে একটা প্রশ্ন থেকেই যায়—কত ভিউয়ে কত টাকা মেলে? ইউটিউব থেকে আয় নির্ভর করে ভিডিওর ধরন, দর্শকের দেশ ও বিজ্ঞাপনের ধরনে।
যদি ভিডিও শিক্ষামূলক বা ব্যবসায়িক হয়, তাহলে ইনকাম তুলনামূলক বেশি হয়। শর্টস ভিডিওতে সাধারণত ১০০০ ভিউতে ৩ ডলারের মতো পাওয়া যায়। তবে বড় ভিডিওতে যদি একাধিক অ্যাড থাকে, আয় বেড়ে যেতে পারে ১০ ডলার পর্যন্ত। বিদেশি দর্শক থাকলে CPM অনেক বেশি হয়, বিশেষ করে ইউএসএ, ইউকে-তে।
বাংলাদেশ বা ভারতের দর্শকদের ক্ষেত্রে CPM তুলনামূলকভাবে কম। সবকিছু মিলিয়ে ইউটিউব ইনকাম একেকজনের জন্য একেক রকম হয়। তাই সঠিক কনটেন্ট এবং স্ট্র্যাটেজি থাকলেই ভালো উপার্জন সম্ভব।
ইউটিউব চ্যানেল খোলার জন্য যা যা করতে হবে
- আপনি যদি ইউটিউবে নিজের কন্টেন্ট শেয়ার করতে চান, তাহলে প্রথমে দরকার একটা ইউটিউব চ্যানেল।
- মোবাইল হাতে থাকলে কাজটা খুব সহজ। শুধু ইউটিউব অ্যাপটা ইনস্টল করে খুলে ফেলুন।
- তারপর উপরের প্রোফাইল ছবিতে চাপ দিন। সেখানে “My Channel” নামে একটা অপশন দেখবেন।
- নাম লিখুন, তারপর “Create Channel”—ব্যস, হয়ে গেলো!
- আপনি এখন চাইলে ভিডিও আপলোড করতে পারেন।
- আর যদি মনে হয়, একটা চ্যানেল তো আছেই, আরেকটা খুলে দেখি!
- তাহলে ফোনের Chrome ব্রাউজার খুলুন, ইউটিউবের অ্যাকাউন্ট পেজে যান।
- সেখান থেকে ডেক্সটপ মোড চালু করে “Add or manage your channel”-এ ঢুকে পড়ুন।
- নতুন নাম লিখে আরেকটা চ্যানেলও খুলে ফেলুন।
- এইভাবে খুব সহজে মোবাইলেই ইউটিউব জগতে পা রাখা যায়।
লেখকের শেষকথাঃ ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় ও ১০টি সফল পদ্ধতি
আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে ইনকাম করার উপায় ও ১০টি সফল পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি, এই আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে এসেছে এবং আপনাদের ত্বকের যত্নে নতুন কিছু শিখতে পেরেছেন। যদি কোনো অংশ বুঝতে অসুবিধা হয়, তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন, আমি চেষ্টা করব আপনাকে সাহায্য করার।
আমি সবসময়ই আপনাদের জন্য আপডেট এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করি। আজকের আলোচনাটি এখানেই শেষ করছি। আশা করি, নতুন কোনো টপিক নিয়ে আবারও কথা হবে।
মাইতানহিয়াত আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url